Shuttle Memories!
ভর্তি সংক্রান্ত কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রথম শাটল ট্রেনে উঠি। দশটার ট্রেন ছিল সম্ভবত।খুবই ধীরেগতির ও অনাড়ম্বর একটা যাত্রা ছিল সেটা। শাটলের স্বমূর্তি আমি দেখি আরো পরে। সেইদিন প্রথম আট’টায় বা সকালের কোন এক ট্রেনে চেপে বসি। ছাত্র-ছাত্রীদের এত ভীড় যে কোন সিট পেলাম না। অনেক ছাত্রকে দেখলাম সিটের উপরে
First-Ever in Bandarban
২০০৮ সাল, মার্চের এক বিকেল বা সন্ধ্যা। ক্যাম্পাসের এক অবসরে বন্ধু প্লাস রুমমেট ব্রুসলি্র (দেশী) সাথে কথা বলছিলাম। পরদিন ছিল শুক্রবার, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, শনিবারও কিসের যেন বন্ধ। এক কথা, দু কথায় আমরা ভাবলাম কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় কিনা। বান্দরবান হলে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। পরের দিন সকালেই বেরিয়ে পড়লাম। মজার
Sajek Valley: A Memory to Cherish
মেঘের দল যখন মেঘদের পেছনে ছুটতে থাকে, আনমনেই প্রশ্নটা উঁকি দেয়। কেন ছুটছে তারা? কিন্তু পরক্ষণেই দিগন্তজোড়া পাহাড়ের সবুজে চোখ পড়তেই জবাবটা পেয়ে যায় চতুর-চঞ্চল বোকা মন। এ বুঝি জীবন্ত কোনো স্থিরতার হাতছানি। কিংবা কোনো সবুজ-রহস্যের উচ্চতার আহবান। যে আহবান আমাদের প্রতিনিয়ত যান্ত্রিকতা ও বাস্তবতার দেয়ালে প্রতিধবনিত হয়ে ফিরে যায়
Ruma to Bogalake: A Journey of Excitement!
বাতাসে টায়ারের পোড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। রাস্তার ভাঙ্গা ও অবিন্যস্ত ইটের সাথে গাড়ির টায়ারের প্রবল ঘর্ষনেই যে এর উৎপত্তি সকলেই তা বুঝতে পারলাম। প্রায় ৪৫ ডিগ্রী কোণের একটি কাদামাখা ও এবড়োথেবড়ো ঢাল বেয়ে ওঠার চেষ্টা করছে আমাদের ল্যান্ডক্রুজারটি।অর্ধেক ওঠার পর আর এগুনো যাচ্ছেনা। ভাঙ্গা কিংবা তেছড়া হয়ে থাকা কোনো ইটের
Four Days in Andaman
আচমকা ঘোষণা এল, আর কিছুক্ষনের মধ্যেই ল্যাণ্ড করবে বিমান। জানালা দিয়ে বাইরে দেখার চেষ্টা করলাম। মেঘের দাপটে স্পষ্ট কিছু বোঝা যাচ্ছেনা। তারপরও তাকিয়ে রইলাম। কয়েক মূহুর্ত পর মেঘ সরে গেল। কয়েকখন্ড সবুজ দৃশ্যমান হল অনেক নিচে। আস্তে আস্তে সবুজের পরিমান যেন বাড়ছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওগুলো সব দ্বীপ। দ্বীপের নাম
Kathmandu & Pokhara: Part Two
পীস প্যাগোডা সারাংকোট থেকে প্রায় ঘন্টা খানেকের পথ। এই পথ তুলনামূলক খাড়া। আবার গাড়ি যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকেও অনেকটা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয়। যদিও সিঁড়ি করা পথ। প্রায় ১৫-২০ মিনিট পথ পাড়ি দিয়ে যখন আমরা সেখানে পৌছালাম মনে হল এইখানে না আসলে অনেক বড় ভুল হয়ে যেত। সমূদ্রের
Kathmandu & Pokhara: Part One
বিমান কখন ল্যাণ্ড করবে সেই অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ পাইলট ঘোষণা করলেন যে আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। কিছুক্ষণের মধ্যে যদি কুয়াশা সরে না যায় তাহলে ঢাকা ফেরত যেতে হবে। শুনে আমরা দমে গেলাম। যদি তাই হয় তাহলে সকল টাইমিং এবং প্ল্যানিং ভেস্তে যাবে। সিটে গা এলিয়ে বসে রইলাম। মাথায় নানা রকম চিন্তা খেলে
Two days at Nihjum Island, Hatia
১৬’র শেষের দিকে ঘুরে এলাম নিঝুমদ্বীপ-হাতিয়া-মনপুরা। আমাদের ৬ জনের দল। সময় নিয়েছি ৬ দিন, ৭ রাত। এর মধ্যে দুই রাত লঞ্চে আসা-যাওয়া। আমাদের ভ্রমন শুরু হয় নিঝুমদ্বীপ থেকে উলটো দিকে। এর আগেই আমরা নিঝুম রিসোর্ট বা অবকাশ রিসোর্টের ঢাকাস্থ অফিস থেকে আমাদের রুম বুকিং করে রাখি। এরপর লঞ্চের বুকিং দিয়ে
Astagram, Kishoreganj: The Place of Calmness
আর মাত্র মিনিট কয়েক আছে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার। আমার মোবাইলের সময় বলছে এক মিনিট মাত্র বাকি, কিন্তু আরো কয় মিনিটের পথ দৌড়াতে হবে তা জানিনা। এই লঞ্চ মিস করলে আরো তিন ঘন্টা পর পরবর্তী লঞ্চ। যার মানে পুরো দিনতো বটেই সমস্ত প্ল্যানই মাটি। আর তাই লঞ্চঘাট বাজারের মধ্যে দিয়ে এঁকেবেঁকে